ফাগুন হাওয়ায় হাওয়া....
ঘুরে এলাম লালপাহাড়ীর দেশে। হ্যা তার সঙ্গে শিমুল পলাশের দেশেও। শুনেছিলাম বসন্তের আঙ্গিনায় ফুলের আগুন লাগে চারিদিকে। তাই দেখতে বেড়িয়ে পড়লাম দোলের ছুটিতে। গন্তব্য পুরুলিয়ার খয়রাবাড়ী। গাড়ী নিয়েবেড়িয়ে পড়লাম দ্বিতীয় হুগলী সেতু ধরে কোনা এক্সপ্রেস হাইওয়ে ধরে সোজা দুর্গাপুর তারপর পুরুলিয়া শহরেরউদ্দেশ্যে। রাস্তা খুবই ভাল বলতে হবে। ছুটির দিন বলে খুবই কম ট্র্যাফিকবর্ধমানের আগে একটু চা জলখাবার সেরে টানা ৫ ঘন্টায় পুরুলিয়াওখানের একটি শপিংমলে মধ্যহ্ন ভোজন সেরে আরো ৬৭ কিমি খয়রাবাড়ী, রাস্তাখুবই সুন্দর বিকেলের রোদে অয্যোধ্যা পাহাড়ের কোলে পলাশ, শিমুলের সারিতে চোখ ধাঁধিয়ে গেল।সত্যি মনেহল নীল দিগন্তে ফুলের আগুন লেগেছে।
বাঘমুন্ডি পেরিয়ে পৌঁছলাম রিসটে লেক ও পাহাড়ের মধ্যে কিছু বাড়ী ও কিছু তাবু বা টেন্ট। আধুনিক ব্যবস্থাও সব রকম সুবিধা আছে বন্ধুবান্ধব নিয়ে দুরাত দিব্বি কাটানো যায়। অনেকের কাছে শুনেছি এখানেঅনেকে চাঁদ দেখতে আসে, সত্যি পূর্নিমার চাঁদ যে এত অপূর্ব হয় জানা ছিল না পাহাড়ের কোল থেকে চন্দ্রদ্য়কখনো দেখিনি এবং এদৃশ্য দোলের দুদিন পরেও। এই মনোরম সন্ধ্যায় পাহাড়ের কোলে বাগানে বসে হাল্কাঠান্ডার আমেজে বসে সাঁওতাল ও পুরুলিয়ার বিখ্যাত ছৌঁউ নাচ অপূর্ব। এ উপলব্ধি কলকাতায় বসে হয় না।
পরদিন গেলাম পাহাড়ের সরু পথ ধরে আরো প্রকৃতির সৌন্দর্য উপলব্ধি নেশায়। কি অপূর্ব সে দৃশ্য গাছের পাতা সব লাল। তার সঙ্গে অশোক, পলাশ, শিমুলের বাহার। রঙ যেন মোর মর্মে লাগে বা রঙে রঙে রঙিলআকাশ...সত্যি ফাগুন লেগেছে বনে
বনে। রবিঠাকুরের ভাষাতেই এবর্ণনা শোভা পায়।
পথে দুতিনটা সুন্দর গ্রামের ঘুরে এলাম যেখানে প্রত্যেকটি বাড়ী রঙ দিয়ে সাজানো।ছোট ছোট বাচ্চারাস্কুলেও যাচ্ছে আবার বন থেকে জ্বালানি কাঁঠও সংগ্রহ করে
আনছে। অদ্ভুত একটা মুক্ত বাতাসে বুক ভরেগেল। সব কিছুই ক্যামেরা বন্দি করলাম যাতে সারা জীবন যেন উপলব্ধি করতে পারি ব্যস্ত জীবনের মাঝে। তাই সবার জন্য রইল কিছু মহুর্ত।
Full moon against the Shimul tree
Tribal village Girl
More Palaash
Green Paddy field
Palaash Trees
অসাধারণ লিখছো তুমি !! তার সাথে অনবদ্য photography. লেখাগুলো " ছবি", আর ছবিগুলো "লেখা" হয়ে ফুটে উঠছে মনের দর্পণে। রাঙিয়ে দিয়ে গেল মন --- ঠিক তোমার ঐ শিমুল- পলাশ এর মতোই ⚘⚘
ReplyDelete